করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে লকডাউনের মেয়াদ বাড়ালেও ২৪ মে থেকে দূরপাল্লার বাস ও ট্রেন চলাচলের অনুমতি দিয়েছে সরকার। স্বাস্থ্যবিধি মেনে অর্ধেক আসন ফাঁকা রেখে বাস চালানোর কথা বলা হলেও অনেক ক্ষেত্রে তা মানা হয় না।
তাই, রংপুরের সচেতন যাত্রীরা ট্রেনের দিকে ঝুঁকছেন। যাত্রীরা বলছেন, বাসে স্বাস্থ্যবিধি তেমন মানা হয় না। ট্রেনে আসন সংখ্যার অর্ধেক যাত্রী নেওয়া হয়। ফলে, এতে সামাজিক দূরত্ব রক্ষা করা যায়। তাছাড়া, ট্রেনে বাড়তি ভাড়ার ঝামেলা নেই। কাউন্টারে না এসে অনলাইনে কেনা যায় টিকিট। রংপুর রেলস্টেশনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এ বছর লকডাউনের শুরু থেকেই রেলে যাত্রী পরিবহন বন্ধ রেখে শুধু পণ্যবাহী ট্রেন সচল রাখা হয়। এখন সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী স্বল্প পরিসরে ট্রেনে যাত্রী আনা-নেওয়া করা হচ্ছে। রংপুর রেলস্টেশন থেকে শুধু রংপুর এক্সপ্রেস চলাচল করছে। এ ট্রেনে রংপুর স্টেশন থেকে ১২৫টি সিট বরাদ্দ থাকলেও করোনা সংক্রমণেরর ঝুঁকি এড়াতে অর্ধেক যাত্রী নিয়ে ট্রেন চালানো হচ্ছে। রেলস্টেশনে টিকিট দেওয়া হচ্ছে না। অনলাইনে টিকিট পাওয়া যাচ্ছে। বৃহস্পতিবার (২৭ মে) বিকেলে রংপুর রেলস্টেশন ঘুরে দেখা যায়, প্ল্যাটফর্মে ভিড় নেই। ট্রেন এলে কেবল দেখা মেলে কিছু যাত্রীর।
ঢাকাগামী যাত্রী সাগর রহমান বলেন, ‘অনলাইনে টিকিট নেই। তাই, বাধ্য হয়েই রেলস্টেশনে এসেছিলাম। এখন শুনি, সিট নেই, সব অনলাইনে বিক্রি হয়েছে।রেলে আসন বাড়ানো জরুরি।
স্টেশন মাস্টার আলমগীর হোসেন জানান, ট্রেনের প্রতি যাত্রীদের আগ্রহ বেড়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে রেলে চলাচল করছেন যাত্রীরা।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।